বর্তমানে বিদেশ ভ্রমণে কথোপকথনের অন্যতম মাধ্যম ইংরেজি ভাষা। এটি
আন্তর্জাতিক ভাষা। আর কম্পিউটারকে বলা হয় আধুনিক সভ্যতার চাবিকাঠি। এর
ভাষাও ইংরেজি। এ জন্য ইংরেজি ও কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
চাকরির বাজারেও রয়েছে এ দুটোর ব্যাপক চহিদা। সুতরাং ইংরেজি ও কম্পিউটার
শিক্ষায় রয়েছে আপনার ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল হাতছানি। বিস্তারিত
জানাচ্ছেন আহমাদ মুন্না
কী শিখবেনইংরেজি
বিভাগে প্রধান আলোচ্য বিষয় ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য। তবে বিদেশে ভাষার
চাহিদা বেশি। আর কম্পিউটারে রয়েছে শেখার একাদিক বিষয় যেমন, এমএস ওয়ার্ড,
এক্সেল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, সিমুলেশন ও
এনিমেশনসহ শেখার আছে অনেক কিছু।কোথায় শিখবেনইংরেজি
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনার্স হিসেবে পড়ানো হয়।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইন্সটিটিউট, বিট্রিশ কাউন্সিলসহ বিভিন্ন
প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও কোচিং সেন্টারে ইংরেজি ভাষার ওপর ১ বছর, ৬ মাস ও ৩
মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আর কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায়
সবকয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবকয়টি বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের
প্রায় অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি কম্পিউটার সাইন্স অথবা
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন
টেকনোলোজি হিসেবে পড়ানো হয়। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স কোর্সের
মেয়াদ চার বছর। দেশের বাইরে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটি পড়ানো হয়। এছাড়া
আমাদের দেশে একাদিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের ওপর সল্প
মেয়াদি (৬ মাস ও ৩ মাস) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যেমন- সরকারি যুব উন্নয়ন
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।চাহিদাইংরেজি
একটি আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য। আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারণে এর ব্যাপক
চাহিদা আছে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে। বলা চলে চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানার
কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, দূতাবাস ও বিদেশে চাকরি
নেয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি একটি অপরিহার্য ভাষা। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া কম্পিউটারের সঠিক
ব্যবহারের জন্য আপনাকে অবাশ্যই ইংরেজিতে ভালো দক্ষ হতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে ।এমন কোনো
কর্পোরেট হাউস নেই যেখনে কম্পিউটার ম্যানের প্রয়োজন নেই।চাকরির সুবিধাদেশের
প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং
দেশী ও বিদেশী ব্যাংকে উচ্চ বেতনে চাকরির সুব্যবস্থা আছে। বিসিএস-এর
বিভিন্ন ক্যাডারেও ভালো ইংরেজি জানা শিক্ষার্থীদের রয়েছে যথেষ্ট
সুযোগ-সুবিধা। আর কম্পিউটার জানা লোকদের তো রয়েছে বহুমুখী কাজের অফুরন্ত
সুযোগ। এই সেক্টরে দুই ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। একটি সরকারি অন্যটি
বেসরকারি। সরকারি খাতগুলো বিশেষ করে পরমাণু শক্তি কমিশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল
রুম, ই-গর্ভরনেন্স, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন, রেল যোগাযোগ, বিটিসিএল,
তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে,
একাদিক মোবাইল কোম্পানি, টেলিভিশনের নেটওয়ার্কিং সেক্টর, বিভিন্ন আইটি
প্রতিষ্ঠান, অনলাইন মিডিয়াতে নিউজ পোস্ট, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট, গ্রাফিক্স
ডিজাইনার, ডেক্সটপ পাবলিশিংয়ে বিভিন্ন বই লেখা, ছাপানো, সফটওয়ার ফার্ম,
বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের আইটি সেক্টরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে
আপনি চাকরির সুযোগ পেতে পারেন।আয়-রোজগারবর্তমানে
কম্পিউটার খাত একটি শিল্প। এ শিল্প বিকাশে প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবী ও
দক্ষদের নিয়োগ দিয়ে আকর্ষণীয় বেতন প্রদান করে থাকে। এখানে আপনি স্থায়ী
কর্মকর্তা হিসেবে শুরুতেই মাসে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা, প্রতিষ্ঠান ভেদে এর
পরিমাণ ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকাও হতে পারে। আর পরে মাসে ১ লাখ থেকে ৪/৫ লাখ
টাকাও আয় করা সম্ভব। এছাড়া পার্টটাইমে কাজ করে আপনি মাসে অন্তত দশ হাজারের
মতো টাকা আয় করতে পারবেন। সবকিছু মিলে এখানে রয়েছে পদোন্নতির পাশাপাশি বেতন
বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ।সফলতা পেতে হলেসব
পেশাতেই সফল হতে অতিরিক্ত কিছু গুণ থাকা চাই। আপনাকে হতে হবে উদ্যমী,
সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী। আমাদের দেশে চাকরির চেয়ে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। এ
জন্য ভালো মানের আকর্ষণীয় বেতনের একটি চাকরির জন্য আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন
পত্রিকার জব লিংকের সঙ্গে আ্যড হতে পারেন। আর এক্ষেত্রে যুগান্তরের ‘চাকরির
খোঁজ’ পেইজটি হতে পারে একান্ত সহযাত্রী। বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই
অনলাইনে তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।বিশেষজ্ঞের অভিমতদেশের
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ডিন ও আইএসটির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর
ডক্টর শাহিদা রফিক বলেন, কম্পিউটারকে বলা হয় কী অফ সিভিলাইজেশন, মানে
কম্পিউটার হল সভ্যতার চাবিকাঠি। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির
যুগে আপনি কম্পিউটার ছাড়া কিছুই কল্পনা করতে পারবেন না। কম্পিউটার
ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কাজকে অতি সহজে করতে পারছি। যে জাতি
যোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে সে জাতি তত উন্নত হয়েছে। তিনি আরও
বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষা আজ মৌলিক অধিকারে
পরিণত হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো যেমন মালোয়েশিয়া তাদের জাতীয়
বাজাটের সিংহভাগ বরাদ্দ করে এই খাতে। এজন্য আমাদের সরকারের উচিত জাতীয়
বাজেটের সিংহভাগ কম্পিউটার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা। তাহলে আমাদের দেশ আরও
উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে।
খবর বিভাগঃ
এফ.এম কম্পিউটার আইটি
0 মন্তব্য(গুলি):
এফ.এম কম্পিউটার আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ